আরিফুর রহমান স্বপন:-প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে কুমিল্লার লাকসামে ফসলি জমি ভরাটের মহোৎসব চলছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকা খোদ জনপ্রতিনিধি নিজেই এবার ভরাট করছেন ফসলি জমি।
লাকসাম পৌরসভার কাদ্রা এলাকায় প্রায় সোয়া এক একর ফসলের মাঠ ভরাট করছেন লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ। এছাড়াও লাকসামের বিভিন্ন স্থানে অবাধে ফসলি জমি ভরাটের এখন মহোৎসব চলছে।
একটি সূত্র জানায়, গ্রাহকদের পাওনা টাকার বিপরীতে এফআইসিএল নামে একটি মাল্টিপারপাস ওই জায়গা এগারো জন গ্রাহকের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে ওই গ্রাহকরা জমিটি বিক্রির জন্য কাদ্রা গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাহামুদ খুসরুকে আমমোক্তার নামা দলিল রেজিস্ট্রি দেন। আবদুল্লাহ আল মাহামুদ খুসরু ওই জমিন লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদের নিকট বায়না করেন বলেন,জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল মাহামুদ খুসরু । বায়না সূত্রে মালিক হয়ে চেয়ারম্যান আলী আহমদ নিজ দায়িত্বে ওই জমিন ভরাট করছেন ।
এতে করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যেমন উপেক্ষিত হয়েছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমি ও পরিবেশ। সম্প্রতি ফসলি জমি ভরাট করে সেখানে কোন প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু লাকসাম পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ ওই নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিনি ফসলি জমি ভরাট করছেন।
এদিকে আবদুল্লাহ আল মাহামুদ খুসরু জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ জমিটি আমার সঙ্গে বায়না করেছেন। আবার বিক্রির উদ্দেশ্েয ভরাট করছেন। তবে জমির পুরো টাকা এখনো পরিশোধ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা মতিনকে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি খবর নিয়ে দেখবেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদের সঙ্গে ফসলি জমিতে মাটি ভরাটের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে বলেন, লাকসামে আরও কতো ভরাট হচ্ছে এগুলো আগে লেখেন। এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে টেংড়ি ভেঙে ফেলবো।
