মাদরাসা ছাত্র শাহপরাণ হত্যাবলাৎকারের কথা বলে দেয়ায়

পোস্ট এর সময় : ৭:৪২ অপরাহ্ণ , ভিজিটর : ৭

যশোরের বেনাপোল কাগজ পুকুর খেদাপাড়া হিফজুল কোরআন এতিমখানা মাদরাসার ছাত্র শাহপরাণ (১২) হত্যা মামলার প্রধান আসামি একই মাদরাসার শিক্ষক ও মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদের ইমাম হাফেজ হাফিজুর রহমানকে (৩৫) ১০ দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন হাফিজুর রহমান।

বলাৎকারের কথা সবাইকে জানিয়ে দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদরাসা থেকে দিঘলিয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করেন শার্শা থানার এস আই মামুনূর রশিদ।

 

গত ২ জুন বিকেলে শার্শা উপজেলার গোগা গাজীপাড়া গ্রামের হাফেজ হাফিজুর রহমানের বাড়ির খাটের নিচ থেকে মাদরাসা ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেফতার হাফেজ হাফিজুর রহমান গোগা গ্রামের মৃত মজিদ মোল্যার ছেলে। হাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিহত মাদরাসা ছাত্রের বাবা কাগজপুকুর গ্রামের শাহাজান আলী হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় যশোরের নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান শার্শা থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, মাদরাসা ছাত্র শাহ পরাণের হত্যার পর থেকে শিক্ষক হাফিজুর রহমান কর্মস্থলে না এসে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাদরাসা শিক্ষক হাফিজুর রহমান জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করলেও তিনি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া আরাবিয়া কওমি মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতার আসামির স্বীকারোক্তি হতে জানা যায়, রমজান শুরু হওয়ার ৩-৪ দিন আগে রাতে আসামি তার মাথা টিপে দেয়ার জন্য শাহপরাণকে তার কক্ষে ডাকেন। শাহপরাণ তার কক্ষে গিয়ে মাথা টিপতে টিপতে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে। ওই রাতে শাহপরাণকে বলাৎকার করেন হাফিজুর। বিষয়টি শাহপরাণ পরের দিন তার সহপাঠী এবং মাদরাসার পরিচালনা কমিটির কাছে প্রকাশ করে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর রহমান কৌশলে মাদরাসা থেকে শাহপরাণকে গোগা গাজীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে শাহপরাণকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঘরের চৌকির নিচে রেখে পালিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *