জেলা ও বিভাগে প্রতি বছরই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ

পোস্ট এর সময় : ১২:৫৪ অপরাহ্ণ , ভিজিটর : ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:-এখন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সারা দেশে একযোগে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে বরং জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যতগুলো পদ শূন্য হবে তার বিপরীতেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আর এতে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতাও হবে না। নিয়োগে স্বচ্ছতা বা কোনো ধরনের অনিয়ম বা কারচুপি হওয়ারও সুযোগ থাকবে না। সম্প্রতি সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, দীর্ঘ দিন গ্যাপ না দিয়ে বরং প্রতি বছরই জেলা ও বিভাগ ভিত্তিক প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদ পূরণে বিভাগভিত্তিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায় বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে সারা দেশে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে নানা প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় দুই বছর চলে যায়। কিন্তু প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার শিক্ষক অবসরে চলে যান। ফলে কিছু জায়গায় শিক্ষকদের এই শূন্যতা থাকে দীর্ঘ সময়। এ জন্য বর্তমান সিদ্ধান্ত হচ্ছে সারা দেশে একযোগে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে বরং বিভাগভিত্তিক, ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেখা যাবে যে জেলা বা বিভাগে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার শিক্ষকের পদ শূন্য হচ্ছে সেখানেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আর এতে অতি স্বল্প সময়ে এবং কম জনবল নিয়োগ করেই পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া অনায়াসেই শেষ করা যাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ নয়া দিগন্তকে জানান, আমরা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজও শুরু করেছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা বরিশাল বিভাগের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। কেননা বরিশাল বিভাগে ইতোমধ্যে বেশ কিছু সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। তাই পরীক্ষামূলকভাবে আমরা বরিশাল বিভাগেই প্রথমে শিক্ষক নিয়োগ দেবো। এর পর আমরা টার্গেট নিয়েছি ঢাকা বিভাগ। এরপর পর্যায়ক্রমে যে বিভাগেই শূন্য পদ তৈরি হবে সেই বিভাগেই শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ দিকে সর্বশেষ নিয়োগে গত ডিসেম্বরে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যোগদান করেননি বলেও জানান সচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *