শুক্রবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় চিড়িয়াখানার গেট জনসাধারণের জন্য খোলা হয়। সে সময় থেকেই লেগে রয়েছে অতিরিক্ত চাপ। আকাশ ভালো থাকলে দর্শনার্থীদের এ চাপ বিকেল পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে চিড়িয়াখানার পাশেই জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও (বোটানিক্যাল গার্ডেন) রয়েছে জনসমাগম।চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য ১৫ টাকা। চিড়িয়াখানায় রয়েছে ১৩৭ প্রজাতির ২৭৬২টি পশুপাখি।
জাতীয় চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ড. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের ডাটা অনুযায়ী জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল ১৩৭ প্রজাতির ২৬৯৫ পশুপাখি। ২০১৯ সালে পশুপাখির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৭ প্রজাতির ২৭৬২টি। ঈদের তৃতীয় দিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে মানুষ কম থাকলেও, পরের দিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে দর্শনার্থীদের চাপ।
তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে পারেন এবং ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সে জন্য নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দায়িত্বে রয়েছেন ট্যুারিস্ট পুলিশ, র্যাব, আনসার, পোষাকধারী পুলিশ ও চিড়িয়াখানার নিজস্ব নিরাপত্তা সদস্য।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের টিকেট কাউন্টার থেকে জানা গেছে, সকালে গার্ডেনের দর্শনার্থী কম থাকে। কিন্তু দুপুরের পর ভিড় বাড়ে। তবে, দর্শনার্থীরা মূলত চিড়িয়াখানা ঘুরে ক্লান্ত হয়ে যান ফলে গার্ডেনে সমাগম কিছুটা কম হয় বলে জানান তারা।
চিড়িয়াখানায় দেখা যায়, দীর্ঘ লাইন ধরে প্রবেশের জন্য টিকেট সংগ্রহ করছেন দর্শনার্থীরা। টিকেট সংগ্রহের জন্য লাইনে অপেক্ষা করতে হলেও, ভেতরে প্রবেশে স্বল্প সময়ই লাইনে থাকতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। কিন্তু প্রাণী দর্শনের তর সইছে না যেন কারোই, তাই দর্শনার্থীরা নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলিতে মত্ত।
চিড়িয়াখানায় হরিণ, বাঘ, চিতা বাঘ, বানর, ভাল্লুক, সিংহ, হাতি, জল হস্তি, গন্ডার, ঘোড়া, জিরাফ, জেব্রা, মায়া হরিণ, সাদা হংস, উট, বানর, বনগরু, শিয়াল, আজগর, ময়ূর, কাকাতুয়া, উটপাখি, প্যাঁচা, হুতুমপ্যাঁচা, টিয়া, ময়নাসহ ১৩৭ প্রজাতির ২৭৬২টি পশুপাখি রয়েছে।
খাঁচায় বন্দী সব প্রাণীর সামনে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। তবে অনুকরণীয় বানরের খাঁচার সামনেই ভিড় একটু বেধি দেখা গেছে। শুস্ক আবহাওয়া এবং দিনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের ঈদে টিকেট বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে টিকেট কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে। তবে চিড়িয়াখানার তথ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরের দিন থেকে দেড় লাখের মতো দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে চিড়িয়াখানায়।